লাখাইয়ে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে পানির দামে ।বিপাকে কোরবানি দাতারা।

লাখাইয়ে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে পানির দামে ।বিপাকে কোরবানি দাতারা।

এম এ ওয়াহেদঃলাখাইয়ে কোরবানির চামড়ার বাজার সিন্ডিকেট কবলে।মৌসুমি স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীর একজোট হয়ে পানির দরে চামড়া কিনে নিচ্ছে।
এতে কোরবানি দাতারা পড়েছে বিপাকে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঈদের পূর্বে যে পশুর চামড়া বিক্রি হতো ৭-৮ শত টাকায় তা ঈদের দিন বিক্রি হচ্ছে ৫০-১০০ টাকায়। এতে কোরবানি দাতারা পড়েছেন বিপাকে। তাঁরা নামমাত্র মুল্যে তা বিক্রি করা ব্যতীত কোন গত্যন্তর নেই। তারা এ নামমাত্র মুল্যে বিক্রি না করলে তা অবিক্রীত থেকে যায় তখন এটা নিয়ে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। আর নামমাত্র মুল্যে বিক্রি করে যা তা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে বিতরণ করার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
এ বিষয়ে উপজেলার সিংহগ্রাম এর এক কোরবানি দাতা জানান আমরা পশুর চামড়া বাড়ীতে একজন ক্রেতা ১০০ টাকা দিতে চেয়েছিল কিন্তু বিক্রি করিনি।পরে কোন ক্রেতা না পেয়ে ৫০ টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়ে স্থানীয় বুল্লাবাজার এনে ৫০ টাকায় বিক্রি করেছি।
খোঁজ নিয়ে আরোও জানা যায় এ বছর লাখাইয়ে পবিত্র ঈদুল আজহায় প্রায় ৫ হাজার পশু কোরবানি হয়েছে এবং মানভেদে প্রতিটি চামড়া ৫০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
স্থানীয় একজন মাংস প্রক্রিয়াজাত কারী আবু সাইদ জানান আমরা কোরবানি ঈদ ব্যতীত অন্য কোন সময় ১ লক্ষ টাকা মূল্যে একটি গরু জবাই করলে চামড়া বিক্রি করতে পারতাম ৭-৮ শত টাকায়।কিন্তু সে মূল্যে পশুর চামড়া ঈদের দিন বিক্রি হচ্ছে ১ শত টাকায়।
স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায় সিন্ডিকেটের কবলে পড়ায় বঞ্চিত হচ্ছে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর একটি অংশ ও বিভিন্ন মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি।
যেহেতু এ চামড়া বিক্রির টাকা প্রত্যেক কোরবানি দাতা তাঁর এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে বন্টন করে আসছেন আবার কেউবা এ চামড়া কোন দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দান করে থাকেন।চামড়ার দর পতনের কারণে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *