স্টাফ রিপোর্টর।। বাহুবলের দ্বিমুড়া গ্রামে এক মহিলা মেম্বারের দাপটে অহেতুক হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন প্রতিবেশীরা। পান থেকে চুন কষলেই ঠুকে দেন মামলা। নিরীহ লোকজনকে ফেলেন হয়রানিতে। গত ১৭ মে সংঘটিত দুই বন্ধুর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে ৯ ব্যক্তির নাম উল্লেখ সহ ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি দিয়ে মামলা করা হয়েছে বাহুবল মডেল থানায়। এ মামলার বাদী হলেন খোদ মহিলা মেম্বার পারুল আক্তারের স্বামী মোঃ রেনু মিয়া।
এ মামলায় ঘটনার তারিখ সময় ১২ মে রাত ১২ টা দেখিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তড়িগড়ি করে থানায় উক্ত অভিযোগ আমলে নিয়ে এফআইআরও ভুক্ত করা হয়েছে।
এর নেপথ্যে জানা গেছে, রেনু মিয়ার স্ত্রী পারুল আক্তার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হওয়ার পর বনে যান আলাদিনের চেরাগ। তুচ্ছ নানা বিষয় নিয়ে স্থানীয়দের সাথে জড়িয়ে পড়েন বিরোধে। মেম্বার পরিচয়ে সহজে ম্যানেজ করে ফেলেন প্রশাসনকে।
গত ১৭ মে বশিনায় প্রকাশ্য দিবালোকে রেনু মিয়া ও পারুল আক্তারের ছেলে শাওনের উপর হামলা চালায় তার বন্ধু মাসুম মিয়া। জাঙ্গালিয়া গ্রামের মাসুমকে প্রধান আসামী করে মামলা করা হয় ৯ জনের বিরুদ্ধে।।অথচ উক্ত মাসুম হচ্ছে উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামের অধিবাসী এবং এ/পি ভুগলি গ্রামে।
এঘটনার জের ধরে মাসুমের সাথে রেনু মিয়ার প্রতিবেশী দ্বিমুড়া গ্রামের কদর আলী, মাসুক মিয়া ও হৃদয় মিয়া সহ নিরপরাধ ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। মাসুম-শাওনের ঝগড়ায় এ মামলার ঘটনা স্থল বশিনা হলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে বাদীর বাড়ির পাশে।
মুলত নিরপরাধ ৮ ব্যক্তিকে বিবাদী করার অনুসন্ধানে জানা গেছে, বেশ কিছু দিন আগে মসজিদে বসাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রেনু মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া তাদের প্রতিবেশী আয়াত আলীর ছেলে সাব্বিরকে মারধোর করে। এসময় ঝগড়া আটকাতে গেলে জনাব আলী নামের অপর এক ব্যক্তিকেও মারধর করে। শুধু তাই নয় রেনু মিয়া ও তার স্ত্রী মহিলা মেম্বার পারুল আক্তার অর্থ-ভিত্ত্বের প্রভাব দেখিয়ে রাস্তায় গাড়ি রেখে মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন।