গাজীপুরের মৌচাক, জামালপুর মধ্যপাড়া ইউনিয়নের গলাচিপা সড়কে ঘনঘন ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ

কালিয়াকৈর,(গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের মৌচাক, জামালপুর মধ্যপাড়া ইউনিয়নের গলাচিপা

সড়ক ক্রমেই অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।

মৌচাক, থেকে জামালপুর, এবং জামাল মধ্যপাড়া ইউনিয়নের গলাচিপা হয়ে বড়ই বাড়ি
পুরাতন সড়কে গাছ ফেলে বিগত ২ মাসে ছোট বড় অন্তত ৬ টি ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। গলাচিপা পাহাড়ে গাছ বাগান ঘেরা আঞ্চলিক এই সড়কের নিরাপত্তায় রয়েছে কালিয়াকৈর থানার অধীনে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি । এই সড়কগুলোর নিরাপত্তায় মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি থাকলেও অরক্ষিত হয়ে পড়েছে সড়কটি।

এতে আশপাশের বাসিন্দাসহ এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের শ্রমিক ও যাত্রী সাধারণ চরম নিরাপত্তাহীনতার মুখে পড়েছেন। ঘন ঘন ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও উল্লেখযোগ্য কোন দূর্বৃত্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুলিশের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে ক্ষোভ ঝাড়ছেন অনেকে।

অভিযোগ উঠেছে, ডাকাতির খবর জানালেও পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে অহেতুক বিলম্বের কারণে ডাকাতরা নিরাপদে চলে যায়। মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি এই সড়কে টহলে থাকার কথা থাকলেও কয়েক কিলোমিটার দূরে তারা মসজিদ মার্কেটে চায়ের আড্ডায় মগ্ন থাকেন। অথচ মৌচাক থেকে জামালপুর পর্যন্ত সড়কের দূরত্ব প্রায় কয়েক কিলোমিটার হবে। এই সড়কের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে উল্লেখিত দুই পুলিশ ফাঁড়ি।

সর্বশেষ দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে ২৪ এপ্রিল দিবাগত রাত ১১ টার দিকে। ১০/১২ জনের একদল ডাকাত সড়কে গাছ ফেলে যানবাহন আটকিয়ে লুটতরাজ চালায়।

স্থানীয় সূত্র জানায় ত্রি কোয়ার্টার প্যান্ট পরা ১০/১২ জনের ডাকাতরা মৌচাকের দিকে চলে গেলেও পুলিশ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়নি।

এ ব্যাপারে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রাতের আঁধারে বন বিভাগের কর্মকর্তার অধীনে বাগানে কর্মরত পাহারাদারদের তথ্য দিতে গড়িমসি করেন। পাহারাদাররা স্থানীয় অনেক ডাকতকে চিনতে পারলেও বন বিভাগের কর্মকর্তারা ধামাচাপা দিচ্ছেন।

মধ্যপাড়া ইউনিয়নের হাটুরিয়ারচালা এলাকার বাসিন্দা ফরিদ মিয়া বলেন, মৌচাক থেকে জামালপুর এবং জামালপুর থেকে বড়ই বাড়ি পর্যন্ত মধ্যখানে গলাচিপায় পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় ডাকাত দলের সেফ জোন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তিনি বলেন, এক মাসের ব্যবধানে তিনবার এ সড়কে ডাকাতি হয়েছে।

রায়ের চালা গ্রামের বাসিন্দা আবু সাইয়িদ বলেন, কালিয়াকৈর থানা ও মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি যৌথ অভিযান দিলে অনেক ডাকাতকে আটক করা সম্ভব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *