বাহুবলে শচী মন্দিরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যক্তিগত নামফলক স্থাপনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিক্রিয়া

বাহুবলে শচী মন্দিরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যক্তিগত নামফলক স্থাপনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিক্রিয়া

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:  বাহুবল উপজেলার জয়পুর শচী অঙ্গন মন্দির নির্মাণ কাজে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবারও নামফলক স্থাপন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ১১ টার দিকে মন্দির প্রাঙ্গণে এ নামফলক স্থাপন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন মন্দির পরিচালনা পর্ষদের একাংশের সভাপতি ডাক্তার সত্যকাম চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ বনিকসহ তাদের অনুগত লোকজন। এ নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

মামলার বাদী নিরোধ চন্দ্র দাস জানান, বিবাদীরা আদালতে জবাব দিয়েছেন একটা। আর বাস্তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাজ করছেন আরেকটা। যা আদালত অবমাননার সামিল। তিনি জানান, ১৮২/২৩ নং মামলার প্রেক্ষিতে হবিগঞ্জের সহকারী জজ ( বাহুবল) আদালতের আদেশক্রমে গত ১৪ নভেম্বর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় । উক্ত আদেশে ব্যক্তিগত নামে ফলক ব্যবহার করে কোন নতুন মন্দির নির্মাণ করতে না পারে এমর্মে বিবাদী পক্ষকে বারিত করা হয়।

এরপরও শুক্রবার সভাপতি ডাক্তার সত্যকাম চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে বিবাদী সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ বনিক, তার আপন ভাই সন্তোষ বনিক, তাদীয় সহধর্মিণী সবিতা রাণী বনিক ও মুক্তা রাণী বনিক এর নাম যুক্ত ফলক স্থাপন করা হয়েছে।
এব্যাপারে জানতে পরিতোষ বনিকের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, বাহুবল উপজেলার জয়পুর শ্রী শ্রী শচী অঙ্গন ধাম মন্দিরের পাশে নতুন ভবনের ব্যক্তিগত নামফলক স্থাপনের বিষয়ে বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে মন্দির কমিটির সদস্য নিরোধ চন্দ্র দাস বাদী হয়ে কমিটির সাবেক সভাপতি নিখিল রঞ্জন ভট্টাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ বনিক গংকে বিবাদী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

এ প্রেক্ষিতে আদালত মন্দিরে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাহুবল মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ প্রাপ্ত হয়ে থানা পুলিশের এসআই মুকছেদ ১৪ নভেম্বর মন্দির এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন এবং বিবদমান পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ বন্ধ রাখার নোটিশ প্রদান করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *