বানিয়াচং হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: বানিয়াচং থানার থানার অস্ত্র ওয়াকিটকি ও হ্যান্ডকাপ লুট হওয়ার ৫ মাস অতিবাহিত হলেও তা উদ্ধার হয়নি। লুন্ঠিত পুলিশের অস্ত্র -ওয়াকিটকি ও হ্যান্ডকাপ অপরাধ চক্রের হাতে চলে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ১৯ জানুয়ারি রবিবার সকাল ১১ টার দিকে পুলিশ পরিচয়ে হ্যান্ডকাপ নিয়ে অভিনব কৌশলে অটোরিকশার ব্যাটারী ছিনতাইয়ের ঘটনায় এমন আশঙ্কাই করছেন এলাকবাসী।
উল্লেখ্য, গত বছর ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেষ দিন বানিয়াচং থানায় অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র, হ্যান্ডকাপ ও ওয়াকিটকি লুটের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ সহ ৯ জন নিহত হয়। পরবর্তীতে অস্ত্র উদ্ধারে নিষ্ফল চিরুনি অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী।
এদিকে, ১৯ জানুয়ারী সকাল ১১ টার দিকে পুলিশ পরিচয়ে আসামী ধরার কথা বলে অটোরিকশা ভাড়া করে নিয়ে যায় এবং পরে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে চালকে নাস্তা আনার কথা বলে রেস্টুরেন্টে পাঠিয়ে তাৎক্ষণিক চক্রের সদস্যরা গাড়ি থেকে সকল ব্যাটারি গুলো ছিনতাই করে চম্পট দেয়। ঘটনাটি বানিয়াচং বড়বাজার থেকে সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে সুরভী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে নিয়ে সংঘটিত হয়। নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দিলেও সাদা পোষাকে তাদের কাছে হ্যান্ডক্যাপ ও ওয়াটকি ছিলো বলেও জানা যায়।
চক্রটি মিশুক গাড়ির ড্রাইভার বানিয়াচং উপজেলা সদরের ১নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কাজী মহল্লার মৃত শফিক মিয়ার পুত্র সুহান মিয়াকে (১৪) এ তথ্য জানিয়ে বলে পুলিশ পরিচয়দানকারীরা তাকে ৫শ টাকার একটি নোট ধরিয়ে দিয়ে নাস্তা আনার জন্য দোকানে পাঠায়।
কিশোর চালক নাস্তা নিয়ে এসে দেখে গাড়িটি থাকলেও ৩ সদস্যের ভূয়া পুলিশ চক্রটি গাড়ি থেকে ৫টি ব্যাটারি খুলে নিয়ে পালিয়ে গেছে।
এব্যাপারে গাড়ির মালিক একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দেওয়ানদিঘীর পাড়ের হবিব মিয়ার পুত্র সালাউদ্দিন মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভূয়া পুলিশ সেজে গাড়ির ব্যাটারি নিয়ে যাওয়া ৩জনের মধ্যে ১জনকে চিনতে পেরেছে গাড়ি চালক সোহান।
এই ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।