হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : মাগুরার ৮ বছরের শিশু আছিয়ার ধর্ষণ এবং হত্যাকান্ডে খুনির সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে বাহুবলের মিরপুরে মশাল মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা। শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত ১০ টার দিকে এই মশাল মিছিল বের করে ছাত্রজনতা । এ সময় তারা, আমার সোনার বাংলায় ধর্ষকের ঠাই নাই,। আছিয়ার রক্ত বৃথা যেতে দিব না। ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই। তুমি কে আমি কে আছিয়া আছিয়াসহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ধর্ষকের শাস্তি চান। সাধারন শিক্ষার্থীরা আছিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশে মশাল মিছিল বের করে। মিছিলটি মিরপুর বাজার গনিজাহানের এলাকা থেকে শুরু করে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক ও বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে মিরপুর চৌমুহনীতে এসে শেষ হয়। এ সময় তারা এক মিনিট নিরবতা পালন করে।
নিরবতা পালন শেষে আছিয়ার ধর্ষণকারি, যারা আছিয়াকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে , সেই হত্যাকারিদের বিচার চেয়ে বক্তব্য রাখেন, ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ, হাফিজুর রহমান শাওন, ফয়সল আহমেদ, খালিদ মোশাররফ, সুজন আহমেদ, ফয়সল মিয়া, শাকিব আহমেদ, কাওছার আহমেদ, নয়ন মিয়া, নাঈম আহমেদ, ওয়ালিদ মিয়া,তারেক মিয়া, ব্যাবসায়ী সাইফুল ইসলাম সবুজ, সহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী সহ স্থানীয় জনতা। এ সময় শিক্ষার্থীরা বার বার আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা বলেন, আমাদের মাফ করেদিস আছিয়া, আমরা জাতী হিসেবে নির্লজ্জ, এই কলঙ্ক ঘুচবে না। আমরা বড়ই অভাগা জাতী, আমাদের বোনের নিরাপত্তা আমরা দিতে পারিনা। আমরা বাংলাদেশে আর একটাও ধর্ষণের ঘটনা চাই না। আমরা চাই ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড অবিলম্বে কার্যকর করা হোক। যেন আর কোনদিন কোন ধর্ষণের ঘটনা না ঘটে। অপরদিকে মিরপুর পাইলট স্কুলের শিক্ষিকা মিনারা আক্তারের খুনিদের গ্রেপ্তারের আহবান জানান অন্যতায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশুটি। পরের দিন তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে নেওয়া হয়। কয়েকদিন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ১৩ মার্চ দুপুর ১টায় মৃত্যুবরণ করে।