স্টাফ রিপোর্টার।। হাফিজুর রহমান অনিক। বয়স তার ২৫ এর কাছাকাছি। গ্রামের বাড়ি বানিয়াচং। থাকেন হবিগঞ্জ শহরের মাহমুদাবাদ আবাসিক এলাকায়। তার পিতার নাম সমোজ মিয়া এবং মাতা হনুফা খাতুন। বিগত শেখ হাসিনার শাসনামলে বৃন্দাবন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে শহরে তার অবস্থান। নির্দিষ্ট পদপদবি না থাকলেও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিল সমাবেশে ছিল তার সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সময় সময় নানা প্রোগ্রামের ছবি আপলোড দিত নিজ ফেসবুক আইডিতে। বেশ সখ্যতা ছিল পলাতক সাবেক এমপি আবু জাহিরের সাথে। প্রতাপশালী এই নেতার ছত্রছায়ায় পদপদবী ছাড়াই অনিকের দাপট ছিল সবখানে। ওই পলাতক এমপি ছাড়াও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের জেলার নেতাদের সাথে রয়েছে এক সাথে তোলা অনেক ছবি। অভিযোগ রয়েছে, কয়েক বছর ধরে তার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে একটি মাদক চক্র। এ মাদক চক্রের নেটওয়ার্ক বিস্তৃতি রয়েছে হবিগঞ্জ শহরসহ মাধবপুর, শায়েস্তাগঞ্জ, চুনারুঘাট ও বাহুবলে। এসব এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি ও সেবনকারীদের সাথে রয়েছে গভীর সখ্যতা। দেশের পটপরিবর্তনের আগে যেমন ছিল দাপট তা এখনও বলবৎ। অনুসন্ধানে জানা যায়, একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সাথে বেশ দহরম মহরম অনিকের। যার ফলে ৫ আগস্টের পর দিন কয়েক আত্মগোপনে থাকলেও পুলিশে তার পুরনো বন্ধু থাকায় অনিক এখন সমন্বয়ক ছদ্মবেশে চালিয়ে যাচ্ছে অপকর্ম। পুলিশের তেমন সক্রীয়তা না থাকায় মাদক নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছে নির্বিঘ্নে। হবিগঞ্জ শহরে অনেকটা পরিচিত মুখ হওয়ায় সে ইদানীং অবস্থান করছে বাহুবলের মিরপুরে। তাকে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে ইউনিয়ন পর্যায়ের এক কথিত বিএনপি নেতার সাথে। এখানে থাকায় নিরাপদে তার সাথে মেলবন্ধন করছে স্থানীয় মাদকসেবি ও মাদক কারবারিরা। এছাড়া হবিগঞ্জ সদর থানা ছাড়াও বাহুবল, চুনারুঘাট ও শায়েস্তাগঞ্জ থানায় প্রকাশ্যে রয়েছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্যাডার হাফিজুর রহমান অনিকের আনাগোনা। ফ্যাসিবাদের দোসররা আড়ালে চলে গেলেও চিহ্নিত এই ক্যাডারের প্রকাশ্যে বিচরণ রহস্যের সৃষ্টি করেছে।
