বাহুবল ( হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: বাহুবল উপজেলার ইজ্জতনগর প্রকাশিত বানিয়াগাও গ্রামে পৈত্রিক বাড়ির জায়গা বিক্রি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের নিষ্পত্তি করেছেন সালিশানরা। ইজ্জতনগর মৌজার (জেএল নং-১৩৩) এসএ -১১৯ খতিয়ানের ৮৯ দাগে (আরএস-খতিয়ান ১৫৭, দাগ-১৫৬৯) বিক্রিত বাড়িটি দেবোত্তর সম্পত্তি দাবি করলে উক্ত বিরোধের সৃষ্টি হয়। বিরোধটি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। অবশেষে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধি ও সালিশানদের হস্তক্ষেপে উভয় পক্ষের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে বিরোধের নিষ্পত্তি করা হয়।
খোজ নিয়ে জানা যায়, ইজ্জতনগর গ্রামের মৃত সতীশ চন্দ্র করের ছেলে গৌতম চন্দ্র করের নিকট থেকে বিগত ০১-১১-১৭ ইং তারিখে প্রতিবেশী মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে মোতাব্বির হোসেন বাড়ির ৫ শতক জায়গা রেজিষ্ট্রি দলিল মূলে ক্রয় করেন। পরে ৩০ ডিসেম্বর ক্রয়কৃত বাড়িতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে বিক্রেতা গৌতম চন্দ্র করের কাকা গনেন্র চন্র কর মোতাব্বির হোসেনকে বাধা দেন এবং উক্ত বাড়িটি শ্রীশ্রী ভগবতী দূর্গা দেবির নামে দেবোত্তর সম্পত্তি দাবি করে গনেন্দ চন্দ্র কর বাদি হয়ে মোতাব্বির হোসেনকে প্রধান আসামি করে ২১ জনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং-দ্রুত বিঃ ১০/১৭)। এ মামলা বিচারে প্রমাণিত না হওয়ায় ৩-৯-১৯ ইং তারিখে আদালত সকল আসামিকে অব্যাহতি দেন।
এদিকে গৌতমদের পারিবারিক বিরোধের বিষয়টি তখন সময় চুড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়নি। গত ৫ আগস্ট দেশের পটপরিবর্তনের পর উক্ত বিরোধীয় বিষয়টি বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জিকে গউছের নজরে আসলে তিনি সামাজিকভাবে বসে নিষ্পত্তি করে দেয়ার জন্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব দেন। তার নিদর্শনাক্রমে গত ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় নগেন্দ্র চন্দ্র করের বাড়িতে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ৮ গ্রাম নেতা আলহাজ্ব আকাদ্দছ মিয়া বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ বারের সিনিয়র আইনজীবী স্বরাজ রঞ্জন বিশ্বাস, এডভোকেট জিয়াউর রহমান দুলাল, থানা বিএনপির সভাপতি ফেরদৌস আলম চৌধুরী তুষার, সেক্রেটারী হাজী শামছুল আলম, চারগ্রাম নেতা জাহিদুল ইসলাম জিতু মিয়া, হাবিবুর রহমান মাস্টার, প্রভাষক আইয়ুব আলী, প্রভাষক আব্দুল হাই ভূইয়া, আইয়ুব আলী খান, কদর আলী মেম্বার, শফিক মিয়া মেম্বার, ছুরত মিয়া মেম্বার, সাংবাদিক অভিজিৎ ভট্টাচার্য, মিহির বনিক, পানেশ ভট্টাচার্য, রজত দে, মিন্টু দে, শফিক মহালদার, শামছু মিয়া (অবঃ সৈনিক) মোঃ শাহিন মিয়াসহ গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ। সালিশ বৈঠকে উভয় পক্ষের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে বিক্রি করা বাড়ির জায়গা দেবোত্তর সম্পত্তি বলে প্রমাণিত না হওয়ায় মোতাব্বির হোসেনকে সমজিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ প্রেক্ষিতে ১৭ ডিসেম্বর উক্ত ৫ শতক বাড়ির জায়গা মাপ-জোক করে মুরুব্বিয়ান মোতাব্বির হোসেনকে বুঝিয়ে দেন।
উল্লেখ্য উক্ত পারিবারিক বিরোধকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ইসকনের কতিপয় সদস্য ” হিন্দুদের দেবোত্তর সম্পত্তি বিএনপি নেতার দখল” বলে অপপ্রচার চালায়।