লাখাই প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার দলিল লিখক শাহ আমজাদ হোসেন নয়ন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ জন।
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবুল খায়ের এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, গত শনিবার (১১ মে) জিরুন্ডা গ্রামের উত্তরে ও চিকনপুর গ্রামে পূর্ব হাওড়ে উদাচুর বিলের পাশে লোঙ্গা এলাকায় জমিতে অর্ধগলিত অর্ধেক মাটিচাপা অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল তৈরি করে ময়না তদন্তের পর বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে গত সোমবার (১৩ মে) পূর্ব সিংহগ্রামের মৃত নয়নের ১ম স্ত্রী মাপিয়া আক্তার সহ লোকজন এসে পূ্ব সিংহগ্রামের মৃত মোয়াজ্জেম হোসেন এর ছেলে শাহ আমজাদ হোসেন নয়ন এর লাশ হিসেবে সনাক্ত করার পর গত সোমবার (১৩ মে) দিবাগত রাতে আমার থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মৃদুল কুমার ভৌমিক অজ্ঞাত আসামী হিসেবে হত্যা মামলা দায়ের এর পর মামলা তদন্ত করার জন্য আমার থানার চৌকস পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) তদন্ত চম্পক দাম কে তদন্তভার অর্পন করার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তদন্ত চম্পক দাম জেলা পুলিশ সুপার এর দিকনির্দেশনায় ও আমার দিকনির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ৭২ ঘন্টার ভিতরে নয়ন হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পশ্চিম বুল্লা গ্রামের আব্দুল আওয়াল এর স্ত্রী জ্যোসনা আক্তার( ৪২) আব্দুল আওয়ালের মেয়ে স্বামী পরিত্যক্ত রত্না আক্তার (২৫) কে আটক করে এবং তাদের তথ্য মতে জিরুন্ডা গ্রামের সোয়াব আলীর ছেলে ইকবাল কে নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে পশ্চিম বুল্লা গ্রামের আব্দুল আওয়াল এর ছেলে হারুন মিয়া ওরপে ফারক (২৭) কে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত চম্পক দাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামীদের গ্রেপ্তার করি এবং আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন হত্যার সাথে তাদের সম্পৃক্ততা আছে মর্মে প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করেন।
তিনি আরো জানান এ মামলার রহস্য উদঘাটন করার জন্য শুক্রবার (১৭ মে) হবিগঞ্জ জেলা সদরে সংশ্লিষ্ট আদালতে আসামীদের কে সোপর্দ পূর্বক কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবুল খায়ের এ প্রতিনিধি কে জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের কে হবিগঞ্জ সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং বিজ্ঞ আদালতে আসামীগন স্বীকারোক্তি জবানবন্দি গ্রহন করার জন্য আবেদন করা হয়েছে।